কলেজ ইতিহাস
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য
বিয়ানীবাজার স্মরণাতীত কাল থেকেই শিক্ষার প্রদীপ্ত নন্দনকানন। শত মনীষীর স্মৃতি বিজড়িত এ জনপদ জাতীয় উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবদান রেখেছে অনাদিকাল থেকে। মানবতাবাদী জমিদার পবিত্রনাথ দাসের সুযোগ্য পুত্র প্রমথনাথ দাসের ভূমিদানসহ সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় বিয়ানীবাজার মহাবিদ্যালয় ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ২৩ মার্চ ১৯৮৮ তারিখের ঘোষণা অনুযায়ী কলেজটি জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮৮ সালের ৩০ জুলাই। কিন্তু তখন শত ঐতিহ্যের এ জনপদে শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়া রাষ্ট্রীয় তেমন কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। বিয়ানীবাজারের অগ্রণী বিদ্যাপীঠ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের প্রকৃত উন্নয়ন শুরু হয়, এই জনপদের কৃতীসন্তান, সফল শিক্ষানীতি প্রণেতা, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার রূপকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি.-র নেতৃত্বে। ইতঃপূর্বে যে কলেজকে কোনো ক্যাটাগরিতে ফেলা যেত না তা-ই আজ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে এর সামগ্রিক উন্নয়ন বিবেচনায়। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্টাফ প্যাটার্ন দিয়ে স্নাতক পর্যায়ের পাঠদানের ব্যবস্থা নিয়ে যে কলেজটি যাত্রা শুরু করেছিল তা শুধু বিগত ছয়-সাত বছরেই অনার্স ও মাস্টার্স কলেজে উন্নীত হয়েছে। এ প্রায় অসম্ভব স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে সাবেক মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সদয় পৃষ্ঠপোষকতা ও দিনির্দেশনায়। এবং কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথের নিরলস প্রচেষ্টায়। কলেজ প্রতিষ্ঠার তারিখ : ১৫ আগস্ট ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ
ভূমিদাতা: প্রমথনাথ দাস (১৯০০-১৯৭৮)
ভূমির পরিমাণ : ৩.৫০ একর
জাতীয়করণের তারিখ : ৩০ জুলাই ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ
প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক সংখ্যা অধ্যক্ষসহ ৬ জন প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্র সংখ্যা
ও একাদশ শ্রেণি মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ছাত্র ১২৪ জন, ছাত্রী ১ জন; মোট ১২৫ জন
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি | ১২১৫ + ১২১৪] ২৪২৯: স্নাতক
বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা
(১০২৮ + ১০০৫ + ১১১৮ + ১০৯১] ৪২৬৮: স্নাতক সম্মান (৬৬১ + 652 + 650 + ৬৪৯] ২৬১২;
স্নাতকোত্তর (১০২ + ২৯০] ৩৯২।
সর্বমোট ১০,০০০
: একাডেমিক ভবন তিনটি (মুটি তিনতলা একটি চারতলা), বিজ্ঞানভবন এ
তিনতলা এবং প্রাশাসনিক ভবন একটি দোতলা : নান্দনিক দশতলা ভবন নির্মাণাধীন [ প্রাশাসনিক কাম একাডেমিক ভবন
নবনির্মিত ভবন
: একটি
উপাধ্যক্ষ কক্ষ : একটি
শিক্ষক ডরমিটরি : একটি দোতলা
আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব
: দুটি
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার : একটি
শিক্ষক মিলনায়তন : একটি
: দুটি
হয় মিলনায়তন দুটি
বিভাগীয় অফিস কক্ষ : ছয়টি
বিজ্ঞান গবেষণাগার : পাঁচটি
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম : চারটি
রোভার স্কাউট ইউনিট দুটি
বিএনসিসি ইউনিট : দুটি
কেন্দ্রীয় শহিদমিনার : একটি
কলেজ মসজিদ : একটি
পুকুর :একটি
খেলার মাঠ: একটি
বর্তমান শিক্ষক পদসংখ্যা : পূর্ণকালীন – ৪৮, খণ্ডকালীন – ১৭, মোট ৬৫টি
বর্তমান কর্মচারীর পদসংখ্যা: তৃতীয় শ্রেণ-০৫, চতুর্থ শ্রেণি ১০ ৩ মাস্টাররোল কর্মচারী ২১ জন
বিদ্যমান কোর্সসমূহ
একাদশ = বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ।
• স্নাতক (পাস)
বিএ, বিএসএস, বিবিএস ও বিএসসি।
বাংলা বাংলা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা; ইংরেজি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
স্নাতক (সম্মান) ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা এবং দর্শন।
• স্নাতকোত্তর
* প্রিলি টু মাস্টার্স : বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি